ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডিএসইতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ৭০-৮০ জনবল

  • পোস্ট হয়েছে : ০৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০২০
  • 11

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রতিষ্ঠার পরে দীর্ঘ সময় পার করলেও এখনো এফডিআর এর সুদের উপর ভর করে চলে। উচ্চ বেতনে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হলেও ব্যবসায় কোন উন্নতি হচ্ছে না। যাতে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের সুবিধা পাচ্ছেন না শেয়ারহোল্ডাররা। কিন্তু সেই স্টক এক্সচেঞ্জেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ৭০-৮০ জনবল রয়েছে।

রবিবার (১২ জুলাই) ডিএসইর পর্ষদ সভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যায়ন নিয়ে উপস্থাপিত এক রিপোর্টে অতিরিক্ত জনবলের এই তথ্য জানানো হয়েছে।

রিপোর্টে জানানো হয়, ডিএসইতে যেখানে দরকার, সেখানে নিয়োগ না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এগুলো বেশি করা হয়েছে অ্যাসিসটেন্ট (সহকারি) পর্যায়ে। এর মাধ্যমে লেজ ভারী করা হয়েছে। যা নিয়ে আজকের সভায় পরিচালকেরা সমালোচনা করেন।

এজন্য আজকের সভায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জনবল নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে ম্যানেজমেন্টকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ৩ কার্যদিবস সময় বেধে দিয়েছে ডিএসইর পর্ষদ। যা আগামি পর্ষদ সভায় (১৬ জুলাই) উপস্থাপন করা হবে। এর আলোকে অতিরিক্ত জনবলের বিষয়ে সমাধানের জন্য পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেবে।

ডিএসইর ৫৪ বছরের দীর্ঘ পথচলায় পরিচালনা পর্ষদ ও ম্যানেজমেন্টের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। উচ্চ বেতনে ম্যানেজমেন্টের লোকজন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডারদের ভাগ্যে পরিবর্তন হয়নি। এখনো এফডিআর থাকার কারনে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটি মুনাফায় রয়েছে। আর ‘বি’ ক্যাটাগরির লভ্যাংশ দিতে পারছে।

২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। তবে ২০১৩ সালের ২১ ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হওয়ার মাধ্যমে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত হয়। এরপর ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে লভ্যাংশ বিতরন করতে হচ্ছে। তবে এর আগে লভ্যাংশ বিতরন না করায়, তা স্টক এক্সচেঞ্জেই জমা হত। তবে এখন ‘বি’ ক্যাটাগরির লভ্যাংশ দেওয়ার পরেও আর অবশিষ্ট ফান্ড থাকে না। শুরুতে ডিএসইকে ৩ বছর ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিতে গিয়ে রিজার্ভ ব্যবহার করতে হয়েছে। তারপরেও ব্যবসায় কোন উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তী ২ অর্থবছরে লভ্যাংশ ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

এর আগে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ৭টি স্তরে ভাগ করে ৬টি স্তর থেকে বেতন কাটার পক্ষ নিয়ে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক সালমা নাসরিনের নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে স্বতন্ত্র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, মুনতাকিম আশরাফ, অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ছানাউল হক।

উল্লেখ্য ডিএসইর ৩৫৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীরর পেছনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যয় হয়েছে ৩৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যা গড়ে প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য মাসে ৯২ হাজার টাকা করে ব্যয় হয়েছে।

আরও পড়ুন……
এখনো এফডিআর নির্ভর করে চলে স্টক এক্সচেঞ্জ
স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালকদের এতো মিটিং, কিন্তু ফলাফল….
শীর্ষ ৪ কর্মকর্তার পেছনে ডিএসইর মাসে ব্যয় ৩৩ লাখ টাকা, কিন্তু ফলাফল…

বিজনেস আওয়ার/১২ জুলাই, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান:
ট্যাগ :

ডিএসইতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ৭০-৮০ জনবল

পোস্ট হয়েছে : ০৮:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০২০

বিজনেস আওয়ার প্রতিবেদক : দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রতিষ্ঠার পরে দীর্ঘ সময় পার করলেও এখনো এফডিআর এর সুদের উপর ভর করে চলে। উচ্চ বেতনে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হলেও ব্যবসায় কোন উন্নতি হচ্ছে না। যাতে ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশনের সুবিধা পাচ্ছেন না শেয়ারহোল্ডাররা। কিন্তু সেই স্টক এক্সচেঞ্জেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত ৭০-৮০ জনবল রয়েছে।

রবিবার (১২ জুলাই) ডিএসইর পর্ষদ সভায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যায়ন নিয়ে উপস্থাপিত এক রিপোর্টে অতিরিক্ত জনবলের এই তথ্য জানানো হয়েছে।

রিপোর্টে জানানো হয়, ডিএসইতে যেখানে দরকার, সেখানে নিয়োগ না দিয়ে অপ্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এগুলো বেশি করা হয়েছে অ্যাসিসটেন্ট (সহকারি) পর্যায়ে। এর মাধ্যমে লেজ ভারী করা হয়েছে। যা নিয়ে আজকের সভায় পরিচালকেরা সমালোচনা করেন।

এজন্য আজকের সভায় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি জনবল নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে ম্যানেজমেন্টকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ৩ কার্যদিবস সময় বেধে দিয়েছে ডিএসইর পর্ষদ। যা আগামি পর্ষদ সভায় (১৬ জুলাই) উপস্থাপন করা হবে। এর আলোকে অতিরিক্ত জনবলের বিষয়ে সমাধানের জন্য পর্ষদ সিদ্ধান্ত নেবে।

ডিএসইর ৫৪ বছরের দীর্ঘ পথচলায় পরিচালনা পর্ষদ ও ম্যানেজমেন্টের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। উচ্চ বেতনে ম্যানেজমেন্টের লোকজন নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু স্টক এক্সচেঞ্জের শেয়ারহোল্ডারদের ভাগ্যে পরিবর্তন হয়নি। এখনো এফডিআর থাকার কারনে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটি মুনাফায় রয়েছে। আর ‘বি’ ক্যাটাগরির লভ্যাংশ দিতে পারছে।

২০১২-১৩ অর্থবছর পর্যন্ত দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ছিল। তবে ২০১৩ সালের ২১ ডিমিউচ্যুয়ালাইজড হওয়ার মাধ্যমে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত হয়। এরপর ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে লভ্যাংশ বিতরন করতে হচ্ছে। তবে এর আগে লভ্যাংশ বিতরন না করায়, তা স্টক এক্সচেঞ্জেই জমা হত। তবে এখন ‘বি’ ক্যাটাগরির লভ্যাংশ দেওয়ার পরেও আর অবশিষ্ট ফান্ড থাকে না। শুরুতে ডিএসইকে ৩ বছর ১০ শতাংশ করে লভ্যাংশ দিতে গিয়ে রিজার্ভ ব্যবহার করতে হয়েছে। তারপরেও ব্যবসায় কোন উন্নতি না হওয়ায় পরবর্তী ২ অর্থবছরে লভ্যাংশ ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।

এর আগে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন ৭টি স্তরে ভাগ করে ৬টি স্তর থেকে বেতন কাটার পক্ষ নিয়ে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক সালমা নাসরিনের নেতৃত্বে ওই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে স্বতন্ত্র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান, মুনতাকিম আশরাফ, অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ এবং ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী ছানাউল হক।

উল্লেখ্য ডিএসইর ৩৫৯ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীরর পেছনে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ব্যয় হয়েছে ৩৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। যা গড়ে প্রতিটি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য মাসে ৯২ হাজার টাকা করে ব্যয় হয়েছে।

আরও পড়ুন……
এখনো এফডিআর নির্ভর করে চলে স্টক এক্সচেঞ্জ
স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালকদের এতো মিটিং, কিন্তু ফলাফল….
শীর্ষ ৪ কর্মকর্তার পেছনে ডিএসইর মাসে ব্যয় ৩৩ লাখ টাকা, কিন্তু ফলাফল…

বিজনেস আওয়ার/১২ জুলাই, ২০২০/আরএ

ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার মতামত জানান: